ফ্লু এবং সর্দি-কাশির মতো রোগ বর্তমানে লেগেই থাকে। করোনা ভাইরাসের পর থেকে এ জাতীয় রোগ পৃথিবী জুড়ে প্রতিটি মানুষকে আতংকিত করে রেখেছে। এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে বা নিজেকে রক্ষা করার জন্য অধিকাংশ মানুষ ওষুধের দিকে ঝুঁকলেও কিছু মানুষ এখনো ভেষজ পদ্ধতি অবলম্বন করে।
রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় এমন মশলাগুলির প্রসঙ্গ আসলেই প্রথম যে জিনিসটি মনে আসে তা হল আদা। মানব স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারি মশলাগুলির মধ্যে একটি, যার উপকারীতা গণনা করে শেষ যাবে না। মধু এবং লেবুর সাথে আদা মিশিয়ে খেলে এর প্রভাব দ্বিগুণ হয়। এছাড়াও, আদা, মধু এবং লেবুর মিশ্রণ রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুলো বৃদ্ধি করে।
তাহলে আসুন! আদা, মধু এবং লেবুর মিশ্রণের উপকারিতা কী, কোন রোগের জন্য এটি ভাল?
আদা, মধু এবং লেবুর মিশ্রণের উপকারিতা
- পেট ফোলাভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
- সর্দি, ফ্লু সংক্রমণ, সর্দি এবং সাইনোসাইটিসের মতো সমস্যাগুলির জন্য ভাল।
- হজমের ভারসাম্য বজায় রাখে।
- মধু ও আদা দুটোই পেটের পীড়ার উপসম করে।
- রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- বমি বমি ভাবের বিরুদ্ধে অত্যন্ত উপকারি।
- ক্রমাগত কাশি, গলা ব্যথা এবং কফ দূর করতে কার্যকর।
- শরীরকে শক্তিশালী করে গড়ে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- মায়েদের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- মাসিকের সময় ব্যথা কমায়।
- রক্ত সঞ্চালনকে ত্বরান্বিত করে যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- ভাল ঘুমাতে সহায়তা করে।
- কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য সুরক্ষা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
- এটি বিপাককে ত্বরান্বিত করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।
আদা, মধু এবং লেবুর মিশ্রণ
উপকরণ:
- খাঁটি মধু
- এক টুকরো কাঁচা আদা
- ১ টা লেবু
- ১ টা ছোট কাঁচের জার
তৈরি প্রক্রিয়া:
প্রথমে ১ টুকরো কাঁচা আদা খোসা ছাড়িয়ে পাতলা করে কেটে জারে রাখুন। তারপর পাতলা করে লেবু কেটে একই জারে রাখুন।
তারপর আদা এবং লেবুর যথেষ্ট মধু ঢেলে নিন এবং একটি কাঠের চামচ দিয়ে ভালোভাবে মেশান। জারটি শক্তভাবে বন্ধ করে কমপক্ষে ৬ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন। আপনার যথেষ্ঠ সময় থাকলে মিশ্রণটি ভালোভাবে প্রস্তুত হতে ২ দিন ফ্রিজে রাখতে পারেন।।
মিশ্রণটি সিরাপের ন্যায় পরিণত হবে। এইভাবে তৈরিকৃত মিশ্রণটি ২-৩ মাস ফ্রিজে সংরক্ষন করে রাখতে পারেন।
সেবন প্রক্রিয়া:
আদা মধু ও লেবুর মিশ্রণটি প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় ভরা পেটে এক টেবেল চামুচ খেতে পারেন। বাচ্চাদেরকে ছোট চা চামুচ পরিমাণ দেওয়ার চেষ্টা করুন। ইনশাআল্লাহ! ২ দিনের মধ্যেই প্রাকৃতিক এই নিয়ামাতের প্রভাব দেখতে শুরু করবেন।
দ্রষ্টব্য:
প্রতিদিন অত্যধিক পরিমাণ আদা সেবন করা উচিত নয়। দিনে সর্বাধিক ১.২ – ১.৫ গ্রাম পরিমাণে কাঁচা আদা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। উপরন্তু, গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবোত্তর সময়কালে, ওষুধ ব্যবহার করেন এমন ব্যক্তি অথবা যাদের শরীরে অ্যালার্জি আছে তাদের এই মিশ্রণটি খাওয়ার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
1 comment
Rupkothon
ত্বকের যত্নেও মধুর উপকারিতা অতুলনীয়।